সকল পরিচারিকাদের জন্য সুখবর, বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করল সরকার, বেতন জানলে চমকে যাবেন।

পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বাড়ির পরিচারিকাদের নির্দিষ্ট বেতন দেবে রাজ্য সরকার। এখন এই ব্যাস্ত জীবনে নিজেদের কাজ করার আর সময় নেই তাই ভরসা এক মাত্র পরিচারিকারা। এদের জন্য আইন আনতে চলেছে সরকার। বর্তমান সময়ে আমাদের চারি পাশে রান্নার লোক, বাসন মাজা, কাপড় কাচা, লন্ড্রি আরও কত ধরনের পরিচারক ও পরিচারিকারা কাজ করছে।

পরিচারিকারা কত টাকা বেতন পাবেন জানেন?

আর এই দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমরাও এদের ছাড়া এক কথায় চলতে পারিনা। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও এই সকল কর্মচারীদের নির্দিষ্ট কোন বেতন নেই। এবার থেকে এই নিয়ম পাল্টাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে। রাজ্য সরকার নিজেদের অধিনে থাকা এক আইন এর অধিকার কাজে লাগিয়ে সকল পরিচারক ও পরিচারিকাদের তার সাথে সকল অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের জন্য প্রতি মাসে কম সে কম বেতনের সুবিধা আনতে চলেছে।

১৯৪৮ সালে এক আইনে সরকারকে এই অধিকার দেওয়া হয়েছিল। সেই আইনকে কাজে লাগিয়ে সরকার এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বিগত ২২ শে নভেম্বর ২০২২ শ্রম দফতর থেকে এক নির্দেশিকা প্রকাশিত করে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। শ্রম দফতরের আধিকারিকদের থেকে আরও জানা গেছে যে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এর পক্ষ থেকে এই আইন নিয়ে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। এর ফলে কোন বাধা আর থাকল না।

LPG রান্নার গ্যাসের দাম কমাতে বাধ্য হল সরকার, জেনে নিন কবে থেকে চালু হবে নতুন ভর্তুকি।

সরকারের এই ঘোষণা সামনে আসতেই হাসি ফুটেছে সকল শ্রেণির অসংগঠিত শ্রেণির কর্মীদের মুখে। এই নিয়ম লাগু হলে শুধু মাত্র বাড়ির পরিচারক বা পরিচারিকারাই নয় এরই সঙ্গে মুদিখানার কাজকরা, বিস্কুট কোম্পানির লেবার, ইলেকট্রিক ইত্যাদি সকল শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন দিতে হবে।
এক পরিসংখ্যান অনুসারে রাজ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ মহিলা ও ২০ লক্ষ পুরুষেরা এই গৃহ পরিচারিকা বা পরিচারক কাজের সঙ্গে যুক্ত।

অর্থাৎ রাজ্যের ৫০ লক্ষ মানুষ এই কাজের সঙ্গে জড়িত সেটা বলা যেতে পারে। মাসে একটা নির্দিষ্ট বেতন পেলে এই সকল মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে বলে মনে করছে নবান্ন। বেতন ঠিক কি হবে এই নিয়ে চিন্তায় মালিক পক্ষরা। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে চারিদিকের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে আরও বক্তব্য এরকম নিয়ম আগেও অনেক বার নিয়ে আসা হয়েছিল কিন্তু সেটা বেশি দিনের জন্য ফলপ্রসু হয়নি। তাই বেশি তাড়াহুড়ো না করে সব দিকে চিন্তা করে এগতে চাইছে রাজ্য। সম্ভবত আগামী ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছে অনেক বিশেষজ্ঞরা।

রাজ্যের মিড ডে মিল প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ, বেতন 13000 টাকা, আবেদণের শেষ তারিখ কবে?

কারন এই সকল অসংগঠিত শ্রেণির কর্মীরা মুলত গ্রামের বাসিন্দা তাই জন্যই বর্তমানে শাসক দলের সুবিধা বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই আলোচনা নিয়ে আপনার কি মত সেটা নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

Leave a Comment