পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA নিয়ে বিরাট বড় স্বস্তির খবর! জুলাই মাসেই হতে চলেছে ফয়সালা।
DA আন্দোলনকারীদের নজর এখন জুলাই মাসের দিকে, কেন?
বকেয়া DA কবে পাবেন, সেই দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে বসে রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এবার তাদের একাংশের আশা, জুলাই মাসে বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কেন হঠাৎ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ এই আশা করছেন? তার কারণ, জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে দাখিল হওয়া বকেয়া ডিএ মামলার (DA Case) শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তারা ভাবছেন হয়তো সেই মামলার রায় তাদের দিকে যেতে পারে।
এবার সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কি নির্দেশ দেবে, সেটা তো পরবর্তী কথা। এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ Dearness Allowance এর ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী তারা বর্তমানে 6 শতাংশ DA পাচ্ছেন। তাতেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে একের পর এক আন্দোলন, কর্মবিরতি, ধর্মঘট, এমনকি দিল্লির বুকে গিয়েও দাবিদাওয়া জানিয়ে এসেছেন। তবে ওই পর্যন্তই। এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ হুংকার ছাড়লেও কোনো ফল হয়নি।
রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারে বকেয়া DA দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের পরিকাঠামো আলাদা। ফলে ডি এ মামলা আরো জটিল হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অন্য অংশের বক্তব্য, রাজ্য সরকার আর্থিকভাবে সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারলে DA নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।
কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সেই যে কলকাতার রাস্তায় বসে পড়েছেন, সে আর ওঠার নাম পর্যন্ত করেননি। সেখান থেকে একের পর এক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছেন। চলছে ডিএ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন। যদিও তাতে কোনো কাজের কাজ হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্ট গত ২০ মে রাজ্য সরকারকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।
প্রাইমারী টেট নিয়ে ফের মামলা, আবার মহা বিপাকে 32000 বাতিল শিক্ষক।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের তরফে ফের আবেদন জানানো হলেও হাইকোর্টের একই নির্দেশ বহাল রাখা হয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে এসইএলপি (SLP) দাখিল করে রাজ্য সরকার। এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া DA মামলার শুনানি শুরু হয়নি। ৮ জুলাই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) এর আগে একবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের তরফে শোনা গিয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন না।
এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আর জুলাই মাসেই সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে। আর সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের অনুমান তাদের পক্ষেই রায় দিতে পারে। সেই কারণেই তারা অধীর আগ্রহে ওই বকেয়া DA মামলার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তবে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA দেওয়া সম্ভব নয়।
স্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের রাজার কপাল, তিন 3টি লোভনীয় স্কীমে ঝড়ের গতিতে বাড়বে টাকা।
তবে ভবিষ্যতে সরকারি কোষাগারের পরিস্থিতি ঠিক জায়গায় পৌঁছলে তখন ভেবে দেখা যেতে পারে। আর এখানেই ইউনিটি ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, আইনি পথে আমাদের লড়াই চলবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ যে বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন সেই বিষয়টি তারা স্পষ্টভাবে বোঝাতে চাইছেন। তবে যেহেতু মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে তাই এখনো পর্যন্ত বকেয়া ডিএ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়।