Local Train – পশ্চিমবঙ্গের লোকাল ট্রেনের ভীড় কমাতে পূর্ব রেলের বিরাট উদ্যোগ। সবাই এটাই চাইছিলো।
শিয়ালদহ এমন এক Local Train প্লাটফর্ম যেটা সর্ব দিকের কেন্দ্রবিন্দু। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে কাজের জন্য কিংবা স্কুল , কলেজ যাতায়াতের কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে শিয়ালদহ। এই শাখার লোকাল ট্রেনগুলোতে অফিস ও স্কুল কলেজ টাইম এতটাই বেশি ভিড় হয় যে ট্রেন গুলোতে রীতিমত ঝুলে ঝুলে যাওয়ার উপক্রম হয়। একটি কোচের মধ্যে এতটা পরিমাণ যাত্রী যায় যে পা রাখার মতন জায়গা পাওয়া যায়না। আর যদি এই গরমে সেই ভিড়ে যাত্রীদের অবস্থা আরও করুন হয়।
12 Coach Local Train in Sealdah Division Start
গেটের মধ্যে ঝুলে যাওয়ার জন্য ঠেলাঠেলিতে অনেকসময় বিপদ এসে পড়ে। তাই শিয়ালদহ ওইনমেইন ও নর্থ সেকশনে সমস্ত ইএমইউ Local Train লোকালগুলিকে ১২ কোচের করার জন্য শিয়ালদহ ১ থেকে ৫ নং প্লাটফর্মের দৈর্ঘ বৃদ্ধির কাজ শুরু হয়েছে।
যদিও শিয়ালদহ স্টেশনের ইয়ার্ডের সমস্যা রয়েছে তবুও জোরকদমে কাজ এগিয়ে চলছে। থাকা সত্ত্বেও ডেডিকেটেড প্রজেক্ট টিম কাজ করে চলছে। নতুন লে আউটে ইলেকট্রিক ট্রাকশনের বন্দোবস্ত এবং সিগন্যালিং মডিফিকেশনের কাজ খুব নিখুঁত ও সময় সাপেক্ষ।
তাই কিছুটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে Local Train ট্রেন বন্ধ করাও সম্ভব না। যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ট্রেন চালু রাখতেই হবে। তারমধ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ফলে কর্মীদের কাছে এটা খুবই ভীষণ চ্যালেঞ্জিং বিষয়। একদিকে ট্রেন চালু থাকা অবস্থায় কাজ অন্যদিকে এই তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করার দায়িত্ব রয়েছে কর্মীদের ওপর।
এই সমস্ত কৃষকেরা পিএম কিষানের টাকা আর পাবে না! টাকা পেতে এখনি এই কাজ করুন।
ওভারহেড বৈদ্যুতিক তার এবং সিগন্যালিং সরঞ্জামগুলির জন্য নতুন খুঁটি স্থাপনের কাজ চলছে। বেশিরভাগ কাজ করা হচ্ছে রাতের বেলায়। যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য।
দিনের বেলায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্ল্যাটফর্ম ১, ২, ৩ এবং ৪ এর কাছে অতিরিক্ত অস্থায়ী এক্সেস রুট খোলা হয়েছে। সারা রাত ধরে রেল কর্মীরা কাজ করে চলেছে যাতে খুব দ্রুত শিয়ালদহ মেইন এবং নর্থের সমস্ত Local Train লোকাল ট্রেনই ১২ বগির করে তোলা যায়।
রেশন কার্ড গ্রাহকদের জন্য নতুন সুখবর। এই সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।
কিছুদিনের অসুবিধা আগামীর সুবিধা হতে চলেছে। ১২ বগির ট্রেন হলে অনেকটাই ভিড় এড়ানো যাবে। ফলে যাত্রীদের পক্ষে ট্রেনে যাতায়াত করা খুবই সহজ হবে। বিশেষ করে এই তীব্র গরমে ঠাসাঠাসি করে যাওয়া থেকে রেহাই পাবে যাত্রীরা। রেল কর্মীদের কঠোর রাত জাগা পরিশ্রম অল্প দিনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে আশা করা যায়।
Written by Shampa Debnath