Holiday – বাম আমলের 85 দিনের ছুটি ফিরিয়ে আনার দাবি জানালো সমস্ত স্কুলের শিক্ষকরা। গরমের ছুটি আরও বাড়তে পারে।
এপ্রিলের শুরুতেই সূর্যের প্রখর তাপে ওষ্ঠাগত (Holiday) মানুষজন। এতটাই চরম তাপ যে বাইরে বেড়ানো দায়। এখনই তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ওপর। বাতাসে যেন লু বইছে। এরমধ্যে স্কুলে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের। গ্রীষ্মকালীন ছুটি বা Summer Vacation দেওয়া হয় প্রতিবছর মে মাস নাগাদ। মোট স্কুলে বছরে ছুটি থাকে ৬৫ দিন। তারমধ্যে গরমের ছুটি থাকার কথা ১০ দিন। এবারের গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত। কিন্ত গরমের দাপট বাড়ায় সেই ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়।
Teachers Demand 85 Days Extended on Summer Holiday
নতুন ছুটির দিন ঘোষনা হয় ৬ মে থেকে ২ রা জুন। এরপর আবারও আরেকবার দিন পাল্টানো হয়। কারণ তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি হয়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২২ এপ্রিল থেকেই ছুটি বা Holiday থাকবে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলো। এমন বারবার ডেট পরিবর্তনের জন্য পড়াশুনায় ক্ষতি হয়। কারণ প্রথম ছুটির ডেট অনুযায়ী পড়ার সিলেবাস সম্পূর্ণ করার একটা তালিকা করা হয়।
এখন সেই দিনের আগে যদি ছুটি ফের ঘোষনা করা হয় তাহলে সেই সিলেবাস অসম্পূর্ণ অবস্থায় থেকে যায়। এতে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে। তাই শিক্ষক সংগঠনগুলো জানায় বাম আমলের ৮৫ দিন Holiday বা ছুটি আবার ফিরিয়ে আনা হোক। নয়ের দশক পর্যন্ত স্কুলের ছুটির ক্যালেন্ডারে বছরে ৮৫ দিন ছুটি থাকত।
গরমের ছুটি থাকত প্রায় এক মাস। এরফলে বারংবার ডেট পরিবর্তন করার দরকার হতনা। একবারে একমাস Holiday বা ছুটি দেওয়া হতো। এখন ১০ দিন গরমের ছুটি বলে কার্যত সেটা পরে দেড় মাস হয়ে যাচ্ছে। তাই শিক্ষা দফতরকে চিঠি লিখেছে ‘অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’।
এগিয়ে আসলো গ্রীষ্মের ছুটি! ছুটির এই নতুন নোটিশ সব স্কুলের জন্য।
সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গড়াইয়ের দাবি, “অপরিকল্পিত ভাবে গরমের ছুটি বা Holiday না বাড়িয়ে বছরের শুরুতেই আগের মতো ৮৫ দিনের ছুটি দেওয়া হোক।” শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকারের কথায়, “গত কয়েক বছর ধরেই এপ্রিলের গোড়ায় তীব্র গরম পড়ে যাচ্ছে। ছুটির ক্যালেন্ডারে প্রতি বছরই কেন তা হলে গরমের ছুটি মে মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করা হচ্ছে?
এই আবহাওয়ায় ১০ দিনের গরমের ছুটি বাস্তবসম্মত নয়।” ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি থাকার কারণে শিক্ষক শিক্ষিকারা ছুটি পাচ্ছেন। তবে ভোটের ডিউটি থাকলে সেই দিনগুলো নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকতে হবে। অতএব বোঝাই যাচ্ছে শিক্ষক সংগঠনগুলো বাম আমলের ৮৫ দিনের ছুটি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন। যদিও এই দাবি যুক্তিসঙ্গত।
জানা কথা যখন এপ্রিল মে মাস নাগাদ তীব্র গরম পড়ে তখন এপ্রিল এর মাঝে থেকে মে এর মাঝে অবধি একমাস ছুটি ঘোষণা করলেই বারংবার ছুটির দিন পরির্বতন করতে হয়না। এতে পড়ার সিলেবাস সঠিকভাবে সম্পূর্ন করা যায়। ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষেও সুবিধাজনক হয়।
Written by Shampa Debnath.