PM Kisan – এই কাজটি না করলে পাবেন না প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার 15তম কিস্তির টাকা, আজকে থেকে টাকা ঢোকা শুরু।

কেন্দ্রীয় সরকার খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য নিত্য নতুন যোজনা চালু করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮ সালে প্রথম বাংলার কৃষকদের (PM Kisan) দারিদ্র্যতা দেখে তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা করার জন্য কৃষক যোজনা প্রকল্পের চালু করেন। এছাড়া সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক রকম প্রকল্প এনেছেন। ফলে সাধারণ নাগরিকদের মনে খুশির বাঁধ ভেঙেছে। তেমনি নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছেন।

Advertisement

PM Kisan Samman Nidhi Yojana 15th Installment Date.

এছাড়াও নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন পুজোয় ৬০০০এর পরিবর্তে ৮০০০ টাকা দেওয়া হবে। কারণ কৃষক যোজনায় (PM Kisan) প্রতি চার মাসে এতদিন ২০০০ টাকা করে বছরে ৬০০০ টাকা দেওয়া হতো। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে দেওয়া হয়। চার মাসের ব্যবধানে একটি কিস্তি দেওয়া হয়ে থাকে।

Advertisement

আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগেই এই রকম টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়ায় কৃষকদের মনে আনন্দের বাতাবরণ তৈরি করেছিল। শোনা গেছিলো কিষান সম্মান যোজনার জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা বরাদ্দ করা হয় তার থেকে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। সম্প্রতি এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে যে পূজোর আগে।

তবে কিছু অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে যদি শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান যোজনার (PM Kisan) আওতায় কৃষকদের ৮,০০০ টাকা দেওয়া হবে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগার থেকে বছরে বাড়তি ২০০ বিলিয়ন টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। এমনিতে চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান যোজনার জন্য ৬০০ বিলিয়ন টাকা খরচ হবে বলে ধরা হয়েছে।

তবে টাকার বৃদ্ধি ঘটেছে কিনা সেই সম্পর্কিত খবর না থাকলেও কৃষকদের জন্য অন্য ভাল খবর অপেক্ষা করছে।
কারণ এই মাসেই কৃষক যোজনার (PM Kisan) পরবর্তী কিস্তি অর্থাৎ ১৫ তম কিস্তির টাকা পেতে চলেছে। এখনো অবধি কেন্দ্র ১৪ টি কিস্তি দিয়েছে। তাই ব্যাংকে পরবর্তী কিস্তির টাকা ঢুকে যাবে। কৃষকরা চাইলে নিশ্চিন্তে তুলতে পারেন সেই টাকা।

এই কিস্তি কখন কখন পাওয়া যায়ঃ
প্রথম কিস্তি টা এপ্রিল থেকে জুলাই এর মধ্যে পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে। এবার নভেম্বরের শেষ দিকে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। তৃতীয় ডিসেম্বরের থেকে মার্চের মধ্যে দেওয়া হয়। অর্থাৎ বছরে তিনবার কিস্তি দেওয়া হয়। আর এই টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকে।

প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ যোজনার (PM Kisan) ১৫ তম কিস্তির টাকা নভেম্বরের শেষে পেয়ে যাবেন কৃষকরা। আর ১৪ তম কিস্তি জুলাই মাসে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনো যদি এই আওতায় ভুক্ত কৃষকরা ekyc (ই কে ওয়াইসি) না দিয়ে থাকে তাহলে এই টাকা পেতে প্রব্লেম হবে। তাই দ্রুত ekyc ফ্রম ফিলাপ করে জমা দিন। আর এই ফ্রম ফিলাপের ক্ষেত্রে আধার কার্ড ও তার সাথে যুক্ত মোবাইল নম্বর দেখাতে হবে।

ভাইফোঁটা কাটতেই আকাশের মুখ ভার! রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, কি জানালো আবহাওয়া দপ্তর।

এই কে ওয়াইসি করতে গেলে আপনাকে নিকটস্থ PM Krishanportal বা CSC কেন্দ্রে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। আর ekyc খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি করা বাধ্যতামূলক। কিভাবে আবেদন করবেন যারা এখনো এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভূক্ত করেননিঃ
১) প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওপেন করতে হবে
২) ফার্মার কর্নারের অধীনে থাকা ‘e-KYC’ অপশনে ক্লিক করতে হবে
৩) এরপর নিজেদের আধার নম্বর এন্টার করতে হবে
৪) এরপর নিজেদের মোবাইল নম্বরে ওটিপি আসবে, তা এন্টার করতে হবে

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় (PM Kisan) নিজের নাম নথিভূক্ত হলো কিনা তা দেখার উপায় – পিএম কিষাণ যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বেনিফিসিয়ারি লিস্টে ক্লিক করলে নিজের নাম দেখতে পারবেন।
এরপর নিজেদের রাজ্য, জেলা, উপজেলা, ব্লক এবং গ্রামের নাম দিতে হবে এবং ‘গেট রিপোর্ট’ অপশনে ক্লিক করতে হবে – এরপর সুবিধাভোগীর তালিকা দেখা যাবে।

তাই যারা এই আওতায় রয়েছেন তারা যদি ekyc রেজিস্টার্ড না করে থাকেন দ্রুত করুন নাহলে টাকা ঢুকবেনা।
আর যারা এখনো এই আওতায় অন্তর্ভুক্ত হননি তারা উপরিউক্ত পদ্ধতিতে এই আওতায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিবারের মতো এবারও বহু কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ১৫তম কিস্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, যেসব কৃষকের অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন পোর্টালের সঙ্গে লিঙ্ক করা হয়নি, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে না। এ ছাড়া ভুলেখ ভেরিফিকেশন এবং আধারের সিডিং করাও জরুরি। ১৫তম কিস্তি সরকার কেবলমাত্র সেই কৃষকদেরই দেবে যারা আধার সিডিং করেছেন। তাই দ্রুত ekyc রেজিস্টার্ড করে নিন।
Written by Shampa Debnath.

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত জিতলে কত টাকা পাবে? রানার্স আপ কত টাকা পাবে?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button