শিক্ষক হলো মানুষ তৈরির কারিগর। একটি ছোট শিশু থেকে উপযুক্ত মানুষ তৈরি করার কাজটি করে থাকে শিক্ষক শিক্ষিকারা বা School Teacher. মানুষের মতন মানুষ হয়ে সমাজের প্রতি মূল্যবোধ ও দায়বদ্ধতার জায়গা বুঝিয়ে দিতে সাহায্য করে এই শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাতে এই শিক্ষক পেশার প্রতি আজকাল চাকরি প্রার্থীদের একরকম হতাশা দেখা দিয়েছে। যেভাবে অযোগ্য প্রার্থীরা বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন তাতে নতুন প্রজন্ম কতটুকু শিখছে সেটাই বোঝা দায়।
Warn from WBBSE School Teacher by Giving Letters
তবে নতুন বছরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে কেন এই চিঠি? সেই নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলে। অনেক বছর ধরে চাকরিরতা শিক্ষক শিক্ষিকাদের এমন চিঠি পাঠানো দেখে কিছুটা শঙ্কিত School Teacher বা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। অনেকের মনে চাকরি হারানোর একটা ভয়ও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
তবে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের School Teacher নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি সারা রাজ্য দেখেছে এবং তার ফলস্বরূপ হয়েছে যোগ্য প্রার্থীদের মিছিল, মিটিং, অবস্থান বিক্ষোভ এমনকি মামলা চলছে। এখনও অবধি অবরোধ করে থাকছে যোগ্য টেট প্রার্থীরা। যেভাবে বিদ্যালয় গুলোতে অযোগ্য শিক্ষকদের পাল্লা ভারী হয়েছে তাতে নতুন প্রজন্ম কতটা কি শিক্ষা পাচ্ছে তা নিয়ে শঙ্কিত গোটা রাজ্য।
একাধিক অনিয়ম ও অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ তদন্তে উঠে এসছে বেআইনিভাবে School Teacher নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত বহু ব্যক্তি এখন সংশোধনাগারে রয়েছেন। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া মানিক ভট্টাচার্য যে কলেজে অধ্যক্ষের চাকরি পেয়েছিলেন তার নিয়োগ হয়েছিল বাম আমলেই।
সেভাবে দেখতে গেলে কম বেশি বাম আমলেও School Teacher নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল একথা উচ্চ আদালতকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। এই কারণেই শিক্ষকদের যোগ্যতা মাপকাঠি মাপতে ও শিক্ষার মান বজায় থাকছে কিনা সেই জন্যই এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলোতে চিঠি পাঠানো।
2017 সাল থেকে চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষক বিপদে। 10 দিনের মধ্যে লিস্ট জমা করার নির্দেশ।
এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের স্কুলগুলোতে যেসব শিক্ষক ও শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের পাঠদান করে থাকেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কার কেমন রয়েছে তার একটা স্পষ্ট ধারণা নিতে চাইছেন পর্ষদ। এইটাই দেখার যাতে কোনো শিক্ষক শিক্ষিকারা যোগ্য না হয়েও বছরের পর বছর শিক্ষাকতা করে থাকলে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। অর্থাৎ বছরের পর বছর ধরে চাকরিরতা শিক্ষকদের যাচাইকরন পর্যায় চলবে।
প্রতিটি স্কুলে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা কতদিন ধরে পড়াচ্ছেন, কি অভিজ্ঞতা রয়েছে ইত্যাদি তথ্য ডিসেম্বরের মধ্যে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে স্কুল গুলিকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যথেষ্ট যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অযোগ্যভাবে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন এমনকি এত বছর ধরে চাকরি করে আসছেন তাহলে সেই শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সরকার।
প্রশ্নফাঁস বিতর্কের মধ্যে শেষ হলো পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারী টেট পরীক্ষা। চাকরি কবে হবে?
তবে এত বছর পরে হটাৎ এমন চিঠির মাধ্যমে চাকরিরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের যোগ্যতার মাপকাঠি পরীক্ষা বা যাচাইকরণ করা হতে পারে এমন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি শিক্ষকমহল। এই নিয়ে বেশ জলঘোলা হচ্ছে শিক্ষকদের মধ্যে। এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন।
Written by Shampa debnath.