Primary Teacher Recruitment – 58 হাজার শিক্ষকদের প্যানেল প্রকাশ নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ খবর।

Primary Teacher Recruitment বা প্রাথমিক শিক্ষক প্যানেল নিয়ে এক জরুরী খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (Primary Teacher Recruitment Scam) অভিযোগ ওইদিন ধরেই শোনা যায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। নিয়োগ হওয়াকে কেন্দ্র করে একাধিক মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ দেখে আসছে রাজ্যবাসী ও সরকার, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Of India) চলছে মামলা। তবুও এখনো সঠিক বিচারের আশায় শিক্ষার্থীরা।

Primary Teacher Recruitment Scam 58 Thousand Teacher Panel.

অনেকেই আছে যাদের ম্যারিট লিস্টে নাম্বার কম থাকা সত্বেও নিয়োগ প্যানেলে নাম আছে। অথচ বেশি নাম্বার পাওয়া পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ লিস্টে (Primary Teacher Recruitment) নাম নেই। ২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা নিয়ে আরেকবার প্রশ্ন উঠলো। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) জানিয়েছিল যে, ২০১৬ সালে ৪২,০০০ এবং ২০২০ সালে ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teacher Recruitment) করা হয়।

৪ বছরের মাথায় ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teacher Recruitment) দাবি করেছিল পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নভেম্বরের একটি শুনানির দিন জানতে চান, রুল অনুযায়ী সঠিক প্যানেল কোথায়? তিনি আরও প্রশ্ন করেন পর্ষদকে প্রাথমিক বোর্ড ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল তাদের আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল কিনা?

এই সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক হলফনামা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ৭ ই ডিসেম্বর মধ্যে জমা দিতে বলেছিলেন।চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন পর্ষদ মিথ্যা কথা বলছেন। তারা কোনো নিয়োগ প্যানেল (Primary Teacher Recruitment Panel) প্রকাশ করেননি। এদিকে বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবিকে প্রশ্ন করেন তিনি এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা?

বিচারপতি অমৃত সিনহার কিছু কথায় সেদিন চাকরিপ্রার্থীদের অনেকটাই আশার আলো দেখেছিলেন। সেদিন কোর্টে বিচারপতি অমৃত সিনহার বলেছিলেন তিনি “অনেক বঞ্চিত বেকার যুবক অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। একটা দিন যাওয়া মানে তাদের সম্ভাব্য সার্ভিস জীবনের ১ দিন নষ্ট হওয়া। এছাড়া একাধিক মামলায় (Primary Teacher Recruitment) বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া সেদিন আদালতে চাকরি থেকে যাদের বরখাস্ত করা হয় তারাও একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, তার মক্কেলরা কোনও মিথ্যা তথ্য দেননি। আইনজীবীর মূল বক্তব্য ছিল শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল প্রত্যেককে ১ নম্বর দিতে হবে যেহেতু প্রশ্নপত্র ভুল ছিল। সেই নম্বর যুক্ত হলে এই পরীক্ষার্থীরা (Primary Teacher Recruitment) যোগ্য হবে। এমনটাই দাবি জানিয়েছিলেন আইনজীবী।

এদিকে বিচারপতি পর্ষদের নতুন নিয়োগ প্যানেল দেখাতে বললে পর্ষদের আইনজীবী বিচারপতির কাছে আরও কিছু সময় চেয়ে নেন। কিন্ত বিচারপতি বলেন সেপ্টেম্বরেই হলফনামা দেখানোর সময় দেওয়া হয়েছিল আর কত সময় লাগবে একটা হলফনামা বার করতে? তবুও সবদিক বিচার করে বিচারপতি মামলার পরবর্তী শুনানি দিয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।

Teacher Recruitment (প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ)

আর সেই অনুযায়ী ১২ই ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা পর্ষদের কাছে প্যানেল দেখানোর কথা বললে পর্ষদের আইনজীবী জানান সর্ব সমক্ষে নিয়োগ প্যানেল প্রকাশ করার নিয়ম নেই। বিচারপতির প্যানেল দেখানোর দাবি অগ্রাহ্য করে সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পর্ষদ। আর সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় প্যানেল (Primary Teacher Recruitment) এখনই প্রকাশ করতে হবে না।

টেট পরীক্ষা নিয়ে শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ পর্ষদের তরফে।

একপ্রকার স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। আবারও শুনানির ডেট পড়লো ৪ ঠা জানুয়ারি। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার মতে প্যানেল প্রকাশ্য না আনার জন্য কি কোনোভাবে ইচ্ছাকৃত কারণ রয়েছে সরকারের। কোনোভাবে কি এড়িয়ে যেতে চাইছেন সরকার? এই ৫৮ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ প্যানেল নিয়ে কি হতে চলেছে সেইটাই ভাবাচ্ছে। আগামী ৪ঠা জানুয়ারির শুনানির দিকেই তাকিয়ে শিক্ষকরা।
Written by Shampa Debnath.

42000 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রায় দিল আদালত। চাকরিপ্রার্থী ও

Leave a Comment