প্রখর তাপে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। এপ্রিলের শুরু থেকেই সূর্যমামা (Online Class) চোখ রাঙানি দিয়ে চলেছে। দিনের বেলা বাইরে বেড়ানো যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই স্কুল গুলোতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গরমের ছুটি দিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছাত্র ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাপমাত্রা পারদ ৪০ ডিগ্রির ওপর থাকছে ফলে বাতাসে যেন লু বইছে। এমত অবস্থায় স্কুল চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না দেখে ২২ এপ্রিল থেকেই এই ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ছুটি চলবে ২ রা জুন পর্যন্ত।
Online Class Started During Summer Vacation
অনেকদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পড়ুয়াদের পড়াশুনার দিকটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্কুল বন্ধ হয়েছে তাই সিলেবাস কভার করা যাবেনা। সেইসাথে স্কুল খুললেই পরীক্ষা শুরু। এইসব ভেবে আবার স্কুলগুলোতে শুরু হতে চলেছে করোনা কালীন সময়ের মতন (Online Class) অনলাইন ক্লাস।
যাতে সিলেবাস কভার করা যায় ও সেইসাথে পড়ুয়াদের পড়াশুনার প্রতি অভ্যাসটা থাকে। কারণ একমাসের বেশি সময় স্কুল থেকে ছুটি থাকলে পড়ুয়াদের পড়ার আগ্রহ অনেকটাই চলে যাবে। সরকারি স্কুলগুলোর সাথে সাথে আইসিএসসি ও সিবিএসসি বোর্ডের বেসরকারি স্কুলগুলোকেও এই (Online Class) নির্দেশিকা মানার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে।
অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যেও এই নিয়ে চিন্তা দেখা গিয়েছিল। একদিকে গরমের (Online Class) জেরবার অতিষ্ঠ মানুষজন। অন্যদিকে এতদিন ছুটি থাকলেও পড়াশুনার ক্ষতি। তাই তাদের অনুরোধ ছিল সরকারের কাছে বিকল্প পথের সন্ধান করার। তাই অনলাইন ক্লাস শুরু করার কথা ভাবা হয়েছে।
সমস্ত স্কুলেই একটানা 3 মাসের ছুটির ঘোষণা! রাজ্য সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
এই গরমের ছুটির মধ্যেই অনলাইন ক্লাস বা Online Class করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি স্কুলগুলোর একাংশ। কলকাতার যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল, ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশন, শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশনর মত সরকারি স্কুলগুলো ইতিমধ্যেই অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। বাকি স্কুলগুলোও একই পথ অনুসরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবেনা। করোনা কালীন সময়ে এই Online Class বা অনলাইন ক্লাস অনেকটাই কাজে লেগেছিল আর এইভাবেই স্কুলগুলো পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পেরেছিল। আবার তেমনটাই করতে চলেছে স্কুলগুলো। কিন্ত শহরের দিকে যদিও এইভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কিন্ত গ্রামের স্কুলগুলোতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব হবেনা।
গরমের ছুটিতে ক্লাস হবে। পড়ুয়াদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল।
কারণ সেখানে প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে স্মার্ট ফোন থাকবেনা এটাই কাম্য। শহরের মতন ততটা উন্নয়ন এখনো গ্রামে হয়নি। সেক্ষেত্রে সেইসব পড়ুয়ারা অনেকটাই পিছিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। অন্যদিকে শহরের স্কুলগুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু করার ব্যাপারে খুবই খুশি অভিভাবকরা। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে বাড়িতে থেকেই পড়াশুনার মধ্যে থাকতে পারবে পড়ুয়ারা।
Written by Shampa Debnath.